আফগানিস্তানের তালেবান আন্দোলনকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে কাজাখস্তান। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজিন্সি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার কাজাখ রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কাজিনফর্মকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইবেক স্মাদিয়ারভ জানান, তালেবান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত নয়।

তিনি বলেন, কাজাখস্তান নিয়মিতভাবে প্রজাতন্ত্রে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তালিকা খতিয়ে দেখে থাকে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে জাতিসংঘের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তালেবান আন্দোলনকে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন অনুযায়ী, তালেবান আন্দোলন নিরাপত্তা পরিষদে সন্ত্রাসী হিসাবে স্বীকৃত সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের অবস্থান এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে কাজাখস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে আরও যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে।

ইউরেশিয়ানেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাজাখস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ২০০৫ সালে আল-কায়েদা, ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট, ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং কুর্দিশ পিপলস কংগ্রেসের মতো আরও কয়েকটি সংগঠনের সাথে তালেবানকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে চিহ্নিত করেছিল।

তবে সন্ত্রাসী সংগঠনের হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পরও ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটির সঙ্গে নীরবে ব্যবসায়িক সম্পর্কে বেড়েছে কাজাখস্তানের।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত কাজাখস্তান-আফগানিস্তান ব্যবসায়িক ফোরাম দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখে। যার ফলে পরবর্তীতে দেশ দুটির মধ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি বাণিজ্যিক চুক্তিও হয়।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর কাজাখস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যে বেড়ে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

থিঙ্ক ট্যাঙ্ক রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট গ্রুপের প্রধান ডসিম সাতপায়েভের মতে, কাজাখস্তানের জন্য আফগানিস্তানের সাথে বাণিজ্যে রক্ষায় তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াটা অপরিহার্য ছিল।